রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ (Rheumatic Heart Disease) সম্পর্কিত উপসর্গ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিচে সহজ ভাষায় ও পয়েন্ট আকারে দেওয়া হলো, যাতে সাধারণ মানুষও সহজে বুঝতে পারেন:
✅ শিশুর মা যা বলবেন বা লক্ষণগুলো:
- গলা ব্যথা বারবার হয় – ছোটবেলা থেকেই প্রায়ই গলা ব্যথা করে, কিছুদিন ঔষধে ভালো হয়ে আবার বাড়ে।
- হাটু ও জয়েন্ট ফুলে যায় – কখনো এক হাঁটু ফুলে যায়, আবার ভালো হলে অন্য হাঁটু বা কনুই ফুলে যায়, সঙ্গে ব্যথা থাকে।
- হাত ও আঙুল কাপে – হাত কাঁপাকাঁপি দেখা যায়।
- শরীরে লালচে দাগ – শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোল গোল লালচে দাগ দেখা যায়।
- চামড়ার নিচে ছোট ছোট গুটি – বিশেষ করে জয়েন্টের আশেপাশে ছোট গুটি দেখা যায়।
- দীর্ঘমেয়াদি জ্বর – হালকা জ্বর বা গা গরম ভাব থাকে অনেকদিন।
- গা ব্যথা করে – শিশুটি গা টিপে দিতে চাইবে, কারণ গা ব্যথা করে।
✅ চিকিৎসা ও সতর্কতা:
- প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে সম্পূর্ণ ভালো হয় – তবে ২৫ বছর পর্যন্ত অথবা সারা জীবন প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে।
- হার্টে সামান্য সমস্যা থাকলেও ওষুধ চলবে সারা জীবন – এতে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- সঠিক চিকিৎসায় রোগী ভালো থাকবে।
- ভালভ নষ্ট হলে অপারেশন দরকার হবে – যা ব্যয়বহুল এবং সাধারণ গরীব পরিবারের পক্ষে কঠিন।
- ডাক্তারদের দায়িত্ব – জুনিয়র ডাক্তারদের ভুল বা অবহেলায় শিশুটি পঙ্গু বা মারা গেলে, পরিবারের অভিশাপ বয়ে বেড়াতে হবে সারাজীবন।
- অসুখের শেষ পর্যায়ে এলে আর রক্ষা নেই – তখন বাঁচানো কঠিন হয়, যেমন “মানিক” নামের ছেলেটিকে বাঁচানো যায়নি।
- অপারেশনের খরচ – গরীব বাবা কোথায় পাবে দেড় লাখ টাকা অপারেশনের জন্য?
- ভয়াবহ পরিণতি – অসুস্থ শিশুটি মায়ের-বাবার চোখের সামনে শ্বাসকষ্টে ভুগে মৃত্যু মুখে পতিত হয়।
এই উপসর্গ ও বার্তাগুলো জানলে রিউম্যাটিক জ্বর ও হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হবে এবং সময়মতো চিকিৎসা নিলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।